নিজস্ব সংবাদদাতা | | Editor: শ্যামশ্রী সাহা ১০ এপ্রিল ২০২৪ ০২ : ০৬

উইন্ডোজ প্রযোজনা সংস্থার আস্তিনে অনেক তাস… ‘দাবাড়ু’, ‘আমার বস’, ‘বহুরূপী’।

তৃতীয় ছবিটি মুক্তি পাবে এবছরের পুজোয়। তা হলে রইল বাকি দুই। প্রথম দুটো ছবিমুক্তি কবে? একটির তারিখ প্রথম আজকাল ডট ইনের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছে প্রযোজনা সংস্থা। প্রতি বছর গরমে সপরিবার দেখার মতো ছবি উপহার দেয় তারা। এবছর ১০ মে মুক্তি পাচ্ছে পথিকৃৎ বসু পরিচালিত ‘দাবাড়ু’। প্রথমে কথা ছিল, ছবিটি শীতে মুক্তি পাবে। চিত্রনাট্য লিখেছেন অরিত্র বন্দ্যোপাধ্যায়। সংলাপে অর্পণ গুপ্ত। নিবেদনে নন্দিতা রায়-সঞ্জয় আগরওয়াল।


পুজোমুক্তি থ্রিলারের পর এই প্রথম জীবনীমূলক স্পোর্টস ড্রামা উপহার দিতে চলেছেন নন্দিতা রায়-শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। সূর্যশেখর গঙ্গোপাধ্যায়ের বর্ণময় জীবনের এক টুকরো ছবি ধরা পড়েছে এই ছবিতে। দাবাড়ুর ছেলেবেলা ফুটিয়ে তুলেছেন সমদর্শী সরকার। ‘বড় সূর্যশেখর’ অর্ঘ বসু রায়। তাঁর মায়ের ভূমিকায় ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। দুই প্রশিক্ষক চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী, কৌশিক সেন। দাদু দীপঙ্কর দে। এছাড়াও রয়েছেন শঙ্কর চক্রবর্তী, বিশ্বনাথ বসু প্রমুখ। সূর্যশেখরের জীবনের পাশাপাশি তাঁর মায়ের লড়াই উঠে আসবে ছবিতে। খবর, ছবিতে শুট করতে গিয়ে ভয়ঙ্কর বিপদের সম্মুখিন হয়েছিলেন ঋতুপর্ণা!



কী ঘটেছিল সেটে? জানতে আজকাল ডট ইন যোগাযোগ করেছিল নায়িকার সঙ্গে। সেদিনের কথা বলতে গিয়ে কি এখনও শিউরে ওঠেন তিনি? স্মৃতিপথে হেঁটে বললেন, ‘‘ছোট সূর্যশেখর ভয়ানক দুরন্ত। কিছুতেই তাকে বসিয়ে রাখা যায় না। সারাক্ষণ সে কিছু না করছে। এমনই একটি দৃশ্যে আমি রান্না করছি। আমার ছেলে বল নিয়ে খেলছে। হঠাৎ সেই বলটি এসে পড়বে রান্নার পাত্রে। ছেলে দৌড়বে। আমি তার পিছনে ছুটব। এই দৃশ্যে অভিনয় করতে গিয়েই কেলেঙ্কারির একশেষ।’’ শুরু থেকে সব ঠিকঠাক হচ্ছিল। যথা সময়ে বল এসে পড়ে আঁচে বসানো রান্নার পাত্রে। ঋতুপর্ণা উঠে ছেলের পিছনে ছুটতে যাবেন এমন সময় পাত্র গেল উলটে! পাত্রে রাখা খিচুড়ি গিয়ে পড়ল তাঁর গায়ে। আঁচে বসানো রান্না করা খাবার যে ফুটতে শুরু করেছে, কেউ খেয়াল করেননি। সবাই জানেন, ওটা ঠাণ্ডা খিচুড়ি। ফুটন্ত খাবার গায়ে পড়তেই নায়িকা তড়িঘড়ি নিজের মুখ ঢেকে ফেলেছেন। সেটের সবাই ভাবছে, ঋতুপর্ণা কী জীবন্ত অভিনয় করছেন! ক্যামেরা চলছে। কেউ বুঝতে পারেননি, কত বড় অঘটন ঘটে গিয়েছে। ততক্ষণে নায়িকার গলায়-পিঠে একাধিক ফোস্কা। জ্বালা-যন্ত্রণায় কাতর ঋতুপর্ণা আর থাকতে না পেরে ডুকরে ওঠেন, ‘‘আমায় প্লিজ কেউ একটু জল দাও!’’ তখন সবাই বুঝতে পারেন।

নায়িকার মতে, সেদিন আরও বড় অঘটন ঘটতে পারত। জ্বলে যেতে পারত তাঁর মুখ। পরে ফোস্কা নিয়েই তিনি শট দিয়েছিলেন। সবাই সেটে তাঁর সহ্যশক্তির তারিফ করেছিলেন।